সংবাদদাতা : দুই গোষ্ঠীর বোমাবাজির ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল ভগবানপুর থানার লালপুর এলাকায়। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বোমাবাজি, মারামারির ঘটনায় দুই মহিলা সহ তিনজন জখম হন। এছাড়া গণ্ডগোল থামাতে গিয়ে এক পুলিশ কর্মীও জখম হন বলে জানাগিয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের লাঠিচার্জে তিনজন জখম হন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে বিবদমান গোষ্ঠীর এক নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য হারুণ রশিদকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
হারুণ বাবু গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর অনুগামীরা তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে থানায় বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশ লাঠি চালায়। লাঠিচার্জের ঘটনাতেই তিনজন জখম হন। তাদের মধ্যে দু'জনকে ভগবানপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উত্তেজনা সামাল দিতে লালপুর সহ স্থানীয় জাফর রোড ও গান্ধী রোডে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার পবিত্র ঈদের দিন দুপুরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে পুরানো বিবাদের জেরে গন্ডগোল শুরু হয়।
ঈদের নামাজ পাঠ শেষ হওয়ার পর আচমকা দু'পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তখনই পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়তে থাকে এক পক্ষ। এরপরই গন্ডগোলে মদত দেওয়া ও জড়িত থাকার অভিযোগে হারুণ রশিদ ওরফে বাবুলালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এগরা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আখতার আলি খান বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। লাঠিচার্জের অভিযোগ ঠিক নয়। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসেছে।