সংবাদদাতা : 'অভাবে নয় মেধার বিলুপ্তি' এই আপ্তবাক্য কে সামনে রেখে ২০১২ সাল থেকে পথচলা শুরু ফেয়ারফিল্ড এক্সেলেন্সের। ২০১২ সাল থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মেধাবীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক ও পাঠ্য সামগ্রী বিতরন, স্টাডি সেন্টার নির্মাণ করে শিক্ষা প্রদান, কিছু বিদ্যালয়ে বুক ব্যাংক তৈরি করা বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পাঠরত কিছু ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বাচন করে স্কলারশিপ প্রদান করে চলেছে এই সংস্থা।
সংস্থার পক্ষ থেকে ফেয়ারফিল্ড স্টাডি সেন্টার চলছে তিনটি- একটি কাজিবসানে, একটি প্রতাপপুরে ও আর একটি গোপালচকে। যেখানে প্রায় ৭০ জন ছাত্রছাত্রীকে পাঠদান করা হয়। ফেয়ার ফিল্ড এক্সেলেন্স স্কলারশিপ পেয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে ১৪ জন ছাত্র-ছাত্রী। যাদের পড়াশোনার সম্পূর্ণ বা আংশিক ব্যয়ভার গ্রহণ করেছে এই সংস্থা। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত শিক্ষাক্ষেত্রেই যাবতীয় কাজকর্ম করে চলেছিল এই সংস্থা কিন্তু সাম্প্রতিক করোনা ভাইরাসের হানা, লকডাউন এবং আমফান ঘূর্ণিঝড় জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
এই পরিস্থিতিতে সংস্থা শুধুমাত্র শিক্ষা ক্ষেত্রে আবদ্ধ না থেকে, মানুষের খাদ্য ও অস্থায়ী বাসস্থান নির্মাণ করে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে চলেছে। লকডাউন পরবর্তী সময়ে প্রায় তিন শতাধিক পরিবারের হাতে এক সপ্তাহের খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছে এই সংস্থার সদস্যরা। আমফান দুর্গত এমন অনেক পরিবারকে বাঁশের কাঠামোয় ত্রিপল দিয়ে মাথা গোজার আশ্রয় তৈরি করে দিচ্ছে ফেয়ার ফিল্ড এক্সেলেন্স। ঈদের দিন থেকে আজ পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী মাজিলাপুর, আলাদারপুট, বাঁকিপুট, গোপালপুর, সরস্বতীপুর, কানাইচট্টা, সরদা, প্রতাপপুর, হরিপুর ইত্যাদি গ্রামে ৬৬ টি দুর্গত পরিবারের মাথা গোঁজার আশ্রয় তৈরি করে দিয়েছে সংস্থার সদস্যরা।