সংবাদদাতা : কাঁথিতে করোনা আক্রান্তের খবরে ফের আতঙ্ক ছড়াল । এবারও সেই পরিযায়ী শ্রমিক। কয়েকদিন আগে বোম্বে থেকে ফিরেছিলেন এক পরিযায়ী শ্রমিক। বাড়ি এগরাতে হলেও তিনি কাঁথি ১ ব্লকের কেশুরকুন্দা বড়বড়িয়া গ্রামে ছিলেন। তার লালারস পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণের বিষয়টি ধরা পড়ে। তারপরেই এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তবে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এগরায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ । এক চিকিৎসকের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে প্রথম এই জেলায় ছড়ায় মারন ভাইরাস করোনা।এর পর তমলুক ও হলদিয়া মহকুমায় দফায় দফায় নতুন নতুন এলাকায় আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেলেও এগরায় এক-দুই জন ছাড়া সেই ভাবে করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এই মহকুমার পটাশপুর ও ভগবানপুরে কয়েকজন আক্রান্ত হলেও এগরা থেকেছে করোনা মুক্ত।তবে এবার এগরাতে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে।তাও আবার এক সাথে চার জন নতুন করে করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়ায় আতংক ছড়ালো এগরা জুড়ে ।
জানা গেছে, গত শনিবার এগরা-১ ব্লকের ব্লকের ছত্রী পঞ্চায়েতের উষা গ্ৰামের বাসিন্দা দুই পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরেছেন।এরা কর্মসুত্রে মহারাষ্ট্রে থাকতেন।বাড়ি ফেরার পরে স্থানীয় স্বাস্থ্য দফতর এদের লালাওরস সংগ্রহ করে ।সেই রিপোর্টে এদের শরীরে করোনা সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া যায়।এরপর এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীরা ওই ২জন যুবককে পাঁশকুড়া করোনা বড়োমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের চন্ডীপুর হাসপাতালে পাঠিয়েছে প্রসাশন।
অপরদিকে এগরা ২ ব্লকের তাজপুর ও তেঁতুলিয়াগিরি এলাকার এক জন করে মোট ২ জন পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা ভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেল শনিবার।হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে,গত কয়েকদিন আগে মহারাষ্ট্র থেকে ২জন পরিযায়ী শ্রমিক তাদের বাড়ি ফেরে।
এরপর তাদের লালারস সংগ্ৰহ করে পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়। এদিন সকালে তাদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।এদেরকেও চিকিৎস্যার জন্যে বড়োমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।