সৈকতভূমি ডেস্ক : লকডাউনের জেরে
মদের দোকান বন্ধ। যেখানেই বিক্রি হচ্ছে তা চড়াদামে। ৮৫টাকার মদ বিকোচ্ছে
৩৫০-৪০০টাকায়। এর কারনেই বিপাকে পড়ছেন মদ্যপায়ীরা। মদ কেনার টাকা
থাকায় কফ সিরাপ,স্পিরিট কিনে নেশা করছেন অনেকে। এদিকে মদ না পেয়ে হোমিওপ্যাথি ওষুধ
খেয়ে মর্মন্তিক মৃত্যু হল একই পরিবারের দুজনের।অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের দুজন
সদস্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব
মেদিনীপুর জেলায় মারিশদা থানার শিল্লীবাড়ী এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতরা হল
কাঁথির পিছাবনির বাসিন্দা ভরত দাস (১৮) ও মারিশদা শিল্লীবাড়ীর বাসিন্দা পঙ্কজ দাস
(৩৭)। আশঙ্ক আছেন গৌতম দাস (৩২) ও গঙ্গু দাস (৩৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূএে জানাগেছে, শুক্রবার গৌতম এলাকায় একটি অবৈধ মদের
দোকানের মদ কিনতে যায়। কিন্তু সেই মদ পাঁচগুন দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানতে পারে।
পকেটে টাকা না থাকায় ফিরে আসে। অবশেষে পাশের একটি হোমিওপ্যাথি ওষুধের দোকান থেকে
বায়োনিয়ার 30 বোতল কিনে নিয়ে আসে গৌতম। বিকেলে চারজন মিলে হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে
নেয়। এরপর চারজনই ঘুমাতে চলে যায়। শনিবার দুপুর পর্যন্ত চারজনই উঠতে পারেনি।
ঘটনাটি জানতে পেরে মারিশদা থানা পুলিশ তাদের চারজনকে উদ্ধার করে
কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। কাঁথি হাসপাতালের চিকিৎসক ভরতকে মৃত বলে ঘোষণা
করে। পাশাপাশি তিনজনের চিকিৎসা শুরু হয় কাঁথি হাসপাতালে । সন্ধ্যায় পঙ্কজ দাস
নামের যুবকের মৃত্যু ঘটে।বাকী গঙ্গু দাস ও গৌতম দাস মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
পুলিশ হোমিওপ্যাথি ওষুধের বোতলটি উদ্ধার করেছে। পুলিশের অনুমান হোমিওপ্যাথি ওষুধের
সঙ্গে আরো কিছু মেশানো হয়েছিল। তা না হলে মৃত্যু হতে পারে না। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। মৃত ভরত গৌতমের আত্মীয় বলে
জানাগিয়েছে।
অসুস্থ গৌতম দাসের
স্ত্রী প্রতিমা দাস বলেন,এমনিতেই প্রায়ই মদ্যপান করতো। লকডাউনের কারণে ১০-১২ দিন
কোথাও মদ পায়নি তাই মদ খায়নি। শনিবার দুপুরে খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করলে বিছানা
থেকে উঠে আসেনি চারজন। জিজ্ঞাসা করলে হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়েছে বলে জানায়। কাঁথি মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক চক্রবর্তী জানান, মদ না পেয়ে
হোমিওপ্যাথি ওষুধ জাতীয় কিছু খেয়ে নেয় চারজন। ঘটনায় দুইজনের জনের মৃত্যু
হয়েছে, দু'জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।