সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া
: বাঁকুড়ার জঙ্গল মহলের অন্যতম বনজ সম্পদ মহুল বা মোল । স্থানীয়রা অবশ্য মোল বলেই জানে
। মোল সংগ্রহ করে এই জেলার বিষ্ণুপুর , জয়পুর , রায়পুর , সারেঙ্গা সহ সোনামুখীর কয়েকশ
পরিবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জীবন ধারন করেন । সাতসকালে সোনামুখীর জঙ্গলঘেড়া মাচডোবা
, মৌরাশলি , শিবেরবান্দ এলাকায় দেখা পাওয়া গেলো লক্ষ্মণ রায় ও গীতা সেনাপতির সঙ্গে
। একটা ঝুড়ি নিয়ে মহুল গাছের তলায় একমনে মহুল সংগ্রহে ব্যাস্থ । জঙ্গল মহলে চাষাবাদ
কম হয় , একশ দিনের কাজও সেভাবে হচ্ছে না । তাই সংসার চালানোর জন্য এইসময় দেড়মাস মহুল
সংগ্রহ করে অর্থ উপার্জন করেন । এই মহুল তারা বাইরে থেকে আসা পাইকারদের কাছে বিক্রি
করে থাকেন । বাড়িতে খাবার হিসাবেও ব্যবহার করে মহুল ।
![]() |
মহুল সংগ্রহের পথে মহিলা। |
বাড়ছে চোড়া শিকারী তাই কমতে
শুরু করেছে মহুল গাছের সংখ্যা । সাধারণত এই গাছ কুড়ি মিটার পর্যন্ত লম্বা হয় । হলুদ
রঙের এই ফলে প্রচুর পরিমানে শর্করা , খনিজদ্রব্য , ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে । গ্রামবাংলার
মানুষ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার রান্না করার পাশাপাশি গবাদি পশুর খাদ্য হিসাবেও
ব্যবহার করে থাকেন তারা । মহুয়া তেল থেকে চামড়ার বিভিন্ন রোগের ঔষধও তৈরী হয় । বাঁকুড়ার বিভিন্ন জঙ্গলে
সাম্প্রতিক কালে বাঘের আতঙ্ক তৈরী হয়েছে , বেড়েছে হাতির দৌরাত্ম্য । কিন্তু তা সত্যেও
পেটের তাগিদে গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করে মহুল সংগ্রহ করতে হয় গীতা সেনাপতি লক্ষ্মণ রায়ের
মত দিন আনি দিন খাই মানুষগুলোর । মহুল সংগ্রহ করতে না পারলে টান পড়বে দৈনন্দিন সংসার
চালানোর খরচে ।
![]() |
পড়ে রয়েছে মহুল ফল। |
গীতা সেনাপতি লক্ষ্মণ রায়
রা বলেন , লকডাউন এর জেরে বাইরে থেকে পাইকাররা না আসায় মহুয়া ফল বিক্রি করতে পারছি
না ফলে আর্থিকভাবে সংকটের মুখে পড়তে হচ্ছে । সারাবছর এই দেড় দুমাস মহুয়া ফল বিক্রি
করে দুটো বাড়তি পয়সা রোজগার হয় কিন্তু এবছর তা আর হচ্ছে না । তাদের এইরকম কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে সরকারি
সহযোগিতার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন ।
সৈকতভূমি ই–পেপার পড়তে ক্লিক করুন–
কলকাতা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিতে ক্লিক করুন নিচে দেওয়া লোগোর উপরে–
স্বাস্থ্য বিষয়ক খবর পড়তে ক্লিক করুন–