বাঁকুড়ার বরজোড়াজারে ভয়াবহ
অগ্নিসংযোগ ঘটনার পরবর্তী অবস্থার খবর জানতে ঘটনাস্থলে হাজির আমাদের প্রতিনিধি সঞ্জীব
মল্লিক।
বিশেষ প্রতিবেদন : বুধবার
বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ বড়জোড়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিসংযোগ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় প্রায়
সাড়ে ৩০০টি দোকান আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে নেয় । আজ সকালেও বিভিন্ন প্রান্তে ধোয়া উড়ছে সে ছবি উঠে এলো আমাদের ক্যামেরায় । এই ঘটনায় ব্যাপক
ক্ষতির মুখে পড়ে স্থানীয় দোকানদাররা । আজ সেই বাজারের ভয়াবহ পরিস্থিতি সরেজমিনে
খতিয়ে দেখলাম আমরা । যেখানে দেখা যাচ্ছে কাপড়ের দোকান ফলের দোকান জুতোর দোকান সবজি
দোকান কিছুই বাদ যায়নি সমস্তটাই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছ । ঘটনাস্থলে পৌঁছে দমকল বাহিনী
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । ব্যবসায়ীরা আগামীদিনে কিভাবে সংসার চালাবে তাই ভেবে রাতের
ঘুম ছুটেছে তাদের । কেউ লোন নিয়ে দোকান করেছিল আবার কেউ মহাজনের কাছে ধার নিয়ে দোকান
করেছিলেন । সামনেই চৈত্র সেল মনে করেছিলেন বেচাকেনা কেরে করে ধার শোধ করবেন কিন্তু
পুরোটাই শেষ হয়ে গেল ।
মায়া বাগদি নামে এক কাপড়ের
দোকান মালিক বলেন , এই ঘটনায় আমার প্রায়
সাড়ে চার লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে কালকে কি খাব ব্যবসা কিভাবে দাঁড় করাবো তাই ভেবে
পাচ্ছি না । যদি সরকার একটু সহযোগিতা করে তাহলে খুবই উপকৃত হয় ।
দিব্যেন্দু পাজা নামে এক
সবজি ব্যবসায়ী বলেন , দমকল আসতে দেড় ঘন্টা লেট হয়েছে । একেতেই লকডাউন চলছে তেমন
একটা বেচাকেনা নেই তার ওপর দোকান পুড়ে গেলো এখন কিভাবে সংসার চলবে তাই ভেবে পাচ্ছি
না । এছাড়াও তিনি জানান আমার ২৮ থেকে ৩০ হাজার
টাকা ক্ষতি হয়েছে তাই সরকার একটু পাশে দাঁড়ালে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবো ।
এবিষয়ে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক
জেলার বিজেপির সহ সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন , বড়জোরা
জনবহুল এলাকা কিন্তু তারপরেও এখানে কোন ফায়ার ব্রিগেড স্টেশন নেই । তিনি দ্রুত সরকারের
কাছে বড়জোরায় ফায়ার ব্রিগেড স্টেশন তৈরি করার আবেদন জানান ।
তবে শাসকদল প্রথম থেকেই এই
ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার বার্তা দেন । বড়জোরা ব্লক সভাপতি অলক মুখার্জি বলেন
, এটা খুবই বেদনাদায়ক ঘটনা । কোটি কোটি টাকা
মানুষের ক্ষতি হয়েছে । ইতিমধ্যেই আমরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে
বিষয়টা জানিয়েছি , এছাড়াও পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
এবং জেলা শাসক কে জানানো হয়েছে । আজ আমরা
একটি প্রশাসনিক বৈঠক করব কিভাবে এই অসহায় পরিবার গুলোর পাশে দাঁড়ানো যায় ।
তৃণমূল নেতৃত্বের আশ্বাসে
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও আশ্বস্ত বোধ করেছেন । যেহেতু শাসক দল সর্বদাই মানুষের
পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করেন । এখন তারা দিন গুনছেন সরকারি সহযোগিতার দিকে । কেননা
তাদের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতি নিজেরা কোনদিনও পূরণ করতে পারবে না যদি না
সরকার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় ।