বাঁকুড়া : লকডাউনের জেরে বিক্রি নেই শালপাতার থালা চরম আর্থিক সংকটে দিন কাটছে সোনামুখী জঙ্গল লাগোয়া আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামবাসীদের ।
নোবেল করোনাভাইরাস , লকডাউন মানুষের জীবনের চিত্র টাই কেমন যেন পাল্টে দিয়েছে । মানুষের চাওয়া পাওয়া গুলোকে ওলট পালট করে দিয়েছে । সকলেই এখন দিন গুনছেন কবে সেই আগের সুস্থ জীবন সুস্থ পরিবেশ ফিরে পাবে । নোবেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য দেশজুড়ে চলছে লকডাউন গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন দেশের 130 কোটি সাধারণ মানুষ । আর এমতাবস্থায় আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী জঙ্গল লাগোয়া বেলডাঙ্গা মুশলো কওরাশলি সহ বেশ কয়েকটি আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার গ্রামবাসীদের । এই সমস্ত এলাকার সাধারণ মানুষরা সোনামুখী জঙ্গল থেকে শালপাতা সংগ্রহ করে থালা পাতা তৈরি করেন এবং তাই বিক্রি করে সারা বছর কোন রকমে সংসার অতিবাহিত করে থাকেন । কিন্তু করোনাভাইরাস , লকডাউন সব যেন কেমন ওলটপালট করে দিল । এখন জঙ্গল থেকে শালপাতা সংগ্রহ করে থালা পাতা তৈরি হলেও বিক্রি হচ্ছে না ফলে পড়তে হয়েছে দারুণ আর্থিক সংকটে । সংসার চালাতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে ।
জঙ্গলে বেশিরভাগ সময় হাতি থাকে , হাতির আক্রমণ কে তুচ্ছ করে জীবন বাজি রেখে জঙ্গল থেকে তারা শালপাতার সংগ্রহ করেন । ফলে যেকোনো সময়ে জীবনহানির মত মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । অনেক সময় হাতির সামনে পড়ে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে অনেকের । তার ওপর আধুনিক যুগের ছোঁয়া লেগে বাজারে কাগজের পাতার চাহিদা বেড়েছে যথেষ্ট ফলে শালপাতার থালার চাহিদা কমেছে । বর্তমান কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় তারা তাকিয়ে রয়েছেন সরকারি সহযোগিতা দিকে ।
বেলডাঙ্গার বাসিন্দা বৈদ্যনাথ হেমব্রম , বুমি হেমব্রম রা বলেন , জঙ্গল থেকে পাতা নিয়ে এসে থালাপাতা তৈরি করলেও লকডাউন এর জন্য বিক্রি হচ্ছে না , ফলে দারুন আর্থিক সংকটে পড়তে হচ্ছে । এমতাবস্থায় সরকার আমাদের সহযোগিতা করলে খুবই ভালো হয় ।
তবে রাজ্য সরকার সর্বদায় রাজ্যের সাধারণ মানুষের বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর উন্নতির দিকে যথেষ্ট নজর দিয়েছেন এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের সমস্ত সাধারণ মানুষদের বিনামূল্যে রেশন প্রদান শুরু করেছেন ফলে উপকৃত হচ্ছেন সকল সাধারণ মানুষ । প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক যাঁতাকলে পড়ে তবেকি এই সমস্ত এলাকার সাধারন মানুষরা সরকারের দেওয়া সুযোগ সুবিধা সঠিকভাবে পাচ্ছেন না , প্রশ্ন থেকেই গেল ।