সংবাদদাতা : ২০০৫ সাল থেকে
বেশ কয়েক বছর খেজুরি নন্দীগ্রাম ছিল পরস্পরের শত্রু। নন্দীগ্রামে কেমিক্যাল হাবের
সমর্থক ও বিরোধীতা নিয়ে সেই শত্রুতা গড়িয়েছিল রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে। তালপাটি খালের
এপার থেকে ওপারে যেতেন না কেউ। ওপারের মানুষ এপারে আসতেন না। মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল।
ক্রমশ তা পরে স্বাভাবিক হয়। তবে এখনো খেজুরি এবং নন্দীগ্রামের খুব বেশি মেলামেশা নেই।
লকডাউনে দীর্ঘ গৃহবন্দী তালপাটি খালের এপার এবং ওপারকে মিলিয়ে দিল খেজুরি বন্দর সৎসঙ্গ
আশ্রম।
তালপাটি খালের দুই পাড়ের দেড়শো দুস্থঃ পরিবারের হাতে চাল, ডাল, আলু, সোয়াবিন,
মুড়ি, সাবান, গুঁড়ো সাবান, বিস্কুট এবং মাস্ক তুলে দেওয়া হল। তালিকায় খেজুরির জাহানাবাদ,
বাহারগঞ্জ, কলাগাছিয়া যেমন ছিল তেমনি নন্দীগ্রামের রানিচক টাকাপুরার বেশকিছু পরিবারকে
রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ ধরে এই কর্মসূচি চলছে আশ্রমের সম্পাদক সর্বেশ্বর মন্ডল বলেন, "একসময় আমরা প্রতিদিন শুধু গুলির শব্দ শুনতে পেতাম। খেজুরি-নন্দীগ্রামের সীমা পেরনো যেত না। এপার থেকে ওপারে বা ওপার থেকে এপারে আসা যেত না। ক্রমশ তা ঠিক হয়ে গিয়েছে। তবে এখনো মানুষের মধ্যে কিছুটা অস্বস্তি থেকে গিয়েছে। লকডাউনে দুই এলাকার মানুষই কষ্টে আছেন। আমরা তাই তালপাটি খালের এপার এবং ওপার, দুই পারের মানুষকেই কিছুটা সাহায্য করার চেষ্টা করছি।" সৎসঙ্গ আশ্রমের সভাপতি মেঘনাথ মন্ডল-সহ অন্য সৎসঙ্গীরা খেজুরি এবং জাহানাবাদ দুই জায়গায় রবিবার ক্যাম্প করে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে ত্রাণ বিলি করেন। ত্রাণ বণ্টনে খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়ে সাহায্য করেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (কুটা) ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি অংশ। স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের একটি অংশও সাহায্য করেছে। লকডাউন চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। আশ্রম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খেজুরি এবং নন্দীগ্রামে দারিদ্র্যসীমার নিচে প্রচুর মানুষ আছেন। চাহিদার তুলনায় যোগান খুব কম। যাদের সাধ্য আছে তারা এগিয়ে এলে যতদিন করনা সতর্কতায় এই লকডাউন চলবে ততদিন খাদ্য সামগ্রী বিতরন হবে।
ই–পেপার পড়তে ক্লিক করুন–
প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ ধরে এই কর্মসূচি চলছে আশ্রমের সম্পাদক সর্বেশ্বর মন্ডল বলেন, "একসময় আমরা প্রতিদিন শুধু গুলির শব্দ শুনতে পেতাম। খেজুরি-নন্দীগ্রামের সীমা পেরনো যেত না। এপার থেকে ওপারে বা ওপার থেকে এপারে আসা যেত না। ক্রমশ তা ঠিক হয়ে গিয়েছে। তবে এখনো মানুষের মধ্যে কিছুটা অস্বস্তি থেকে গিয়েছে। লকডাউনে দুই এলাকার মানুষই কষ্টে আছেন। আমরা তাই তালপাটি খালের এপার এবং ওপার, দুই পারের মানুষকেই কিছুটা সাহায্য করার চেষ্টা করছি।" সৎসঙ্গ আশ্রমের সভাপতি মেঘনাথ মন্ডল-সহ অন্য সৎসঙ্গীরা খেজুরি এবং জাহানাবাদ দুই জায়গায় রবিবার ক্যাম্প করে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে ত্রাণ বিলি করেন। ত্রাণ বণ্টনে খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়ে সাহায্য করেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (কুটা) ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি অংশ। স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের একটি অংশও সাহায্য করেছে। লকডাউন চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। আশ্রম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খেজুরি এবং নন্দীগ্রামে দারিদ্র্যসীমার নিচে প্রচুর মানুষ আছেন। চাহিদার তুলনায় যোগান খুব কম। যাদের সাধ্য আছে তারা এগিয়ে এলে যতদিন করনা সতর্কতায় এই লকডাউন চলবে ততদিন খাদ্য সামগ্রী বিতরন হবে।
ই–পেপার পড়তে ক্লিক করুন–