সঞ্জীব মল্লিক : সরকারি নির্দেশকে
উপেক্ষা করেই পাত্রসায়রের সিএসপি সেন্টার ও বিভিন্ন ব্যাংকের সামনে লম্বা লাইন সাধারণ
মানুষের । সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখে বন্ধ হল সিএসপি সেন্টার ।
এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে
আতঙ্কের আরেক নাম নোবেল করোনাভাইরাস । ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য দেশব্যাপী চলছে
লকডাউন । রাজ্য সরকার বারবার সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বার্তা দিচ্ছেন জামায়াত নিষিদ্ধ
দূরত্ব বজায় রেখে সমস্ত কাজ করতে হবে । ইতিমধ্যেই
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছেন এই নোবেল করোনাভাইরাস সোয়াইন ফ্লু থেকেও দশগুণ মারাত্মক
।
আরো পড়ুন– লকডাউনে সময় কাটছে না ?
কিন্তু তার পরেও কোনরকম সতর্কতা নেই সাধারণ মানুষের মধ্যে সে ছবি
উঠে এলো আমাদের ক্যামেরায় । যেখানে দেখা যাচ্ছে বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়রের বিভিন্ন
ব্যাংকে সকাল থেকেই টাকা তোলার লম্বা লাইন । এর পাশাপাশি সাধারণমানুষ সিএসপি সেন্টারেরট সামনে ভিড় জমিয়েছেন
। পাত্রসায়রের কাকর ডাঙ্গা মোরে সিএসপি সেন্টারের সামনে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখেই
সিএসপি সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয় । আর এখানে প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষ যেখানে ঠাসাঠাসি
করে টাকা তুলছেন কেন সিএসপি সেন্টার কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছিল না । সংবাদমাধ্যমের
ক্যামেরা দেখেই বা কেন সেন্টার বন্ধ করলেন । আর এখান থেকেই বাড়ছে করোনার সংক্রমণের
আশঙ্কা । যদিও পুলিশ প্রশাসন সদাসতর্ক রয়েছেন তারা সাধারণ মানুষকে সোশ্যাল ডিসটেন্স
বজায় রাখার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন । কিন্তু একশ্রেণীর সবজান্তা মানুষ কিছুতেই সচেতন
হচ্ছেন না । টাকা তোলার জন্য লম্বা লাইনে কেউ
সকাল ছয়টা থেকে দাঁড়িয়ে আছেন আবার কেউ সকাল সাতটা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন
।
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক
মহিলা বলেন , ব্যাংকে টাকা ঢুকেছে কিনা বুঝতে পারছিনা টাকা না তুললে খাব কি। আমাদের
কাজ বন্ধ হয়ে গেছে তাই টাকা তুলতে এসেছি ।
এই যেমন সুপ্রিয় কনার নামে
এক ব্যক্তি স্ত্রীর টাকা ঢুকেছে কিনা তাই চেক করতে এসেছেন কিন্তু তার মুখে কোন মাস্ক
নেই । সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন কতক্ষণ
মার্কস পড়ে থাকবো যদিও পরে অবশ্য তিনি মাসক পরে থাকব । যদিও পরে তিনি পকেট থেকে মাসক
বের করে মুখে নেন । আবার কেউ ছোট্ট ছেলেকে কোলে নিয়েই টাকা তোলা লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েছেন
।