সৈকতভূমি নিউজ ডেস্ক ঃ সিসিটিভি ফুটেজ চিনিয়ে দিল ব্যবসায়ী খুনের মূল পান্ডাকে। মেছেদা স্টেশনে ট্রলি ব্যাগের ভেতর বউবাজারের ব্যবসায়ী হাসান আলির দেহ উদ্ধারের ঘটনায় মূল পান্ডা সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রেলের তরফে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল সেদিনের সিসিটিভি ফুটেজ। পরিবারের অভিযোগ ও ফুটেজের ভিত্তিতে খুনিদের শনাক্ত করে পাঁশকুড়া জিআরপি। প্রথমে পুলিসের জালে ধরা পড়ে খুনের ঘটনা মূল পান্ডা তৌহিজ উদ্দিন শেখ ওরফে রাজু হালদার। ধৃত রাজু হালদারকে জেরা করে আরও তিন শাগরেদকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতরা হল গৌতম জানা, দুর্গা শঙ্কর সেনাপতি ওরফে ননী ও টোটোচালক প্রণব দাস।
উল্লেখ, দিঘায় হোটেল লিজ নিতে যাওয়ার পথে খুন হন বউবাজারের বাসিন্দা, পেশায় ব্যবসায়ী হাসান আলির দেহ। মেচেদায় ট্রেনের ভিতর ট্রলি ব্যাগের মধ্যে উদ্ধার হয় দেহ। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, দিঘায় বছরে ২১ লক্ষ টাকা লিজে একটি হোটেল নিতে চেয়েছিলেন হাসান আলি। ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। বাকি ৫ লক্ষ টাকা দিতে দিঘায় আসার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁর আর কোনও সন্ধান পাচ্ছিলেন না পরিবারের লোকজন। শেষে মেচেদায় উদ্ধার হয় ট্রলি ব্যাগবন্দি দেহ।
ট্রেন পরিষ্কারের সময় লাল রঙের একটি বড় ট্রলি ব্যাগ পড়ে থাকেন দেখেন সাফাইকর্মীরা। ট্রলি ব্যাগটি খুলতেই আঁতকে ওঠেন তাঁরা। ব্যাগ খুলতেই তার ভিতর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেহটি উদ্ধার হয়। মৃতের পরনে ছিল সাদা রঙের জামা আর ছাই রঙা প্যান্ট। সঙ্গে সঙ্গেই সাফাইকর্মীরা আরপিএফ ও জিআরপি-কে খবর দেন। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠায় পাঁশকুড়া জিআরপি। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। মৃতের পরিচয় তখন জানা যায়নি। পরে পাঁশকুড়া জিআরপিতে করা মিসিং ডায়েরির সূত্র ধরে নিহতের পরিচয় জানতে পারে পুলিশ।