সঞ্জীব মল্লিক,বাঁকুড়া ও সুমন দাস, কাঁথি : মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মেয়েদের বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন । যার মধ্যে সব থেকে উল্লেখযোগ্য হল " কন্যশ্রী প্রকল্প " । যা বাংলাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছে । আজ একডাকে গোটা বিশ্ব বাংলাকে চেনে । মেয়েরা যে আজ সমাজে অবহেলিত নয় , মেয়েরাও পারে পুরুষদের সাথে সমান তালে তাল মিলিয়ে চলতে , সেটাই প্রমাণ করে দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় । আর তাই সেইমত পাত্রসায়ের ব্লকের উদ্যোগে কন্যাশ্রী দিবস ২০১৯ পালিত হল । আজকের এই অনুষ্ঠান একটাই বার্তা বহন করে ভ্রুন হত্যা নয় তাকে যত্নে লালন পালন করে ভবিষ্যতের জন্য তৈরী করে তুলতে হবে ।
বুধবার তমলুকের সুবর্ণ জয়ন্তী ভবনে কন্যাশ্রী দিবস পালিত হয়। উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিবহণ,সেচ ও জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী,উপস্থিত ছিলেন সভাধিপতি দেবব্রত দাস,শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মধুরিমা মন্ডল প্রমুখ।
এদিন কাঁথির মহকুমা শাসক চত্বরে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কন্যাশ্রী দিবস পালিত হয়। উদ্বোধন করেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী,ছিলেন মহকুমা শাসক শুভময় ভট্টাচার্য প্রমুখ। শিশির বাবু তাঁর বক্তব্যে কন্যাশ্রী প্রকল্প কিভাবে বিশ্ব জয় করেছে তা তুলে ধরেন।
পাশাপাশি এদিন বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়র ব্লক থেকে একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয় । যা সমগ্র পাত্রসায়র ব্লক পরিভ্রমণ করে পুনরায় ব্লকে এসে পদযাত্রাটি শেষ হয় । এরপর প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয় । এর পাশাপাশি মঞ্চে উপস্থিত বিশিষ্ট জনদের বরণ করে নেওয়া হয় ।
পাত্রসায়র ব্লকের স্বাস্থ্য কারিগরি আধিকারিক শেখ হোসেন বলেন , আমাদের দেশে গরীবের সংখ্যা খুবি বেশি , অনেক পরিবারের পক্ষে ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা চালাতে সমস্যা হয় । এমনকি মাঝপথে পড়াশুনা বন্ধ করে দিতে হয় । সে জায়গায় দাড়িয়ে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই প্রকল্পে আজ সারা বাংলা খুশি ।
এক ছাত্রী লিপিকা নন্দী বলেন , কন্যাশ্রী পেয়ে আমরা দারুণ খুশি , এই টাকা আমাদের পড়াশুনার কাজে সাহায্য করছে বিশেষ করে গরীব পরিবারের জন্য দারুন সুবিধা হয়েছে ।