সৈকতভূমি ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দুই লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পিতা ও পুত্র মনোনয়ন জমা দিলেন তমলুকের জেলা শাসকের দফতরে।
পূর্ব মেদিনীপুর মানে অধিকারী গড়। আর তাতে ভাটা পড়ল না লোকসভা ভোটেও। আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক লোকসভা ও কাঁথি লোকসভা তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মনোয়নপত্র জমা দিলেন জেলা শাসকের হাতে। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী, কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শিশির অধিকারী মনোনয়নপত্র তুলে দিলেন জেলা শাসকের হাতে। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারি সমর্থনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তমলুক রাজবাড়ী থেকে মিছিল বার করেন দিব্যেন্দু অধিকারী। এই মিছিলে তমলুক বাদামতলায় থেকে যোগদান করেন পরিবহন ও পরিবেশ মন্ত্রী তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। পরে তমলুক হসপিটাল মোড় থেকে মুর্শিদাবাদ মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা উদ্দেশ্যে রওনা দেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি। পিতা-পুত্রের মনোনয়নপত্র জমাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক কর্মী-সমর্থকের জমায়াত হয় তমলুক জেলা শাসক দপ্তরের সামনে। কর্মী সমর্থক, বিধায়ক, পৌরসভার চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, জেলার তৃণমূল নেতা। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, মনোনয়নপত্র জমা কে কেন্দ্র করে জেলাশাসকের দপ্তরে সামনে উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো।
কাঁথি কেন্দ্রের প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেসের শিশির অধিকারী। বুধবার মনোনয়ন জমা দিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক শেখর সেনের কাছে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, উন্নয়ন কাজ অনেক বাকি আছে। সব কাজ টা শেষ করতে পারিনি। আর আমার সামনে ফাঁকা মাঠ দেখছি, এই বয়সেও আমি একা খেলোয়াড়। বিরোধীদের খুঁজে খুঁজে গোল দেব। প্রসঙ্গ টেনে বলেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে, "মিরা পান্ডে যে ভাবে গেল গেল রব তুলেছিল কই গেল সেই রব" তখন টিভিতে বহু লোক পাউডার মেখে বহু কথা বলতো। সেই সব লোক এখন গর্তে ঢুকে গেছে। এ জেলা শান্তির জেলা। ভোটে গন্ডগোল অশান্তি এ জেলায় হয় না। গণতন্ত্রের সব থেকে বড়ো উৎসব, মানুষ আনন্দে নিজের ভোট দেবে। সেন্ট্রাল ফোর্স ৩০ থেকে ৪০ জন ঘুরছে। আর এখন বিরাট খবর, লক্ষণ বাবু প্রার্থী কংগ্রেসের এটা বড়ো খবর ।
ভিডিও দেখুন...