![]() |
ranjan |
কলকাতা : দিলীপ ঘোষের শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত মামলার শুনানি হল আজ। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সওয়াল-জবাব শেষে গরমের ছুটির পর প্রথম শুক্রবার দিলীপ ঘোষের সংশাপত্র দেখতে চায় ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৬ সালে খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ছিলেন দিলীপ ঘোষ। অশোক সরকার নামে এক প্রাক্তন বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময় শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন দিলীপবাবু। আইটিআই করে এই তথ্য তিনি জানতে পেরেছেন। দিলীপ ঘোষের শিক্ষাগত যোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালের ২ মে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন তিনি। গতবছর এই মামলার প্রথম শুনানি হয় তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রের বেঞ্চে। সেই শুনানিতে বিশেষ কিছু আলোচনা হয়নি। আজ পুনরায় শুনানি হয় হাইকোর্টে। উচ্চ আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী আরিফ আলি বলেন, “শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত যে তথ্য দিলীপ ঘোষ নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছিলেন, তা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ, দিলীপবাবু জানিয়েছিলেন তিনি ঝাড়গ্রাম পলিটেকনিক কলেজ থেকে ডিপ্লোমা করেছেন। কিন্তু, আরটিআই করে আমার মক্কেল জানতে পেরেছেন ওই কলেজের কোনও অস্তিত্ব নেই। পরে কোনও একটি সভায় দিলীপবাবু জানিয়েছিলেন তিনি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পলিটেকনিক কলেজ থেকে ডিপ্লোমা করেছেন। তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত দিলীপ ঘোষ নামে কোনও ছাত্র ছিল না ওই কলেজে।” এর জবাবে দিলীপ ঘোষের পক্ষের আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র প্রশ্ন করেন, “মামলাকারী কে ? কেনই বা তিনি চ্যালেঞ্জ করছেন ? নির্বাচনে (বিধানসভা) এর কোনও প্রভাব পড়েনি। তাছাড়া এই বিষয়টি দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। হাইকোর্টের নয়। তাই, এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নেই।” প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য তাঁকে প্রশ্ন করেন, “একজন ব্যক্তি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা জানাবেন না ? কোথা থেকে পাশ করেছেন তা জানাবেন না ? তিনি একজন জনপ্রতিনিধি। সত্যতা কেন জানাবেন না ? নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া হলফনামায় কেন ভুল তথ্য দেবেন ?”